হাসবে সবাই, ঈদ আনন্দে





ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। প্রতি বছর খুশির বার্তা নিয়ে উৎসবের আবহে ঈদ আসে আমাদের জীবনে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই খুশিকে দ্বিগুণ করে দেয় ঈদের নতুন জামা। কিন্তু শ্রেণিবৈষম্যের এই সমাজে এক শ্রেণির শিশুদের এই ঈদ আনন্দ থমকে যায় একটি নতুন জামার অভাবে। বছরে একটাও নতুন জামা কেনার সাধ্য হয় না তার। অন্য শিশুদের নতুন জামা দেখে আফসোস করতে করতে তারা পার করছে নিদারুণ বিষাদময় এক শৈশব। এই প্রাণবন্ত, অর্থের যাঁতাকলে পড়ে সুবিধাবঞ্চিত হওয়া শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এবছরও এক টাকায় শিক্ষা পরিবার আয়োজন করেছে "ঈদ ইভেন্ট"।
আমরা অনেক সময় নিজের জন্য বা নিজের সন্তানদের জন্য দু'জোড়া - তিন জোড়া বা তারও বেশি ঈদের জামা কিনি। কিন্তু এমন অনেক পরিবার আছে যারা তাদের সন্তানের জন্য নতুন জামা দূরে থাক দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খায়। "আমরাও পারি তাদের পাশে দাঁড়াতে। নিজেদের জন্য অতিরিক্ত জামার টাকাটা নাহয় ঐসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বরাদ্দ দিই!" - এই অনুপ্রেরণা নিয়ে শুরু হয় ঈদ ইভেন্ট-২০২২।

দেশজুড়ে ৭ দিন ব্যাপী আমাদের এই ইভেন্টের মাধ্যমে ঈদের জামা পেয়েছে ৪৬৭ জন শিশু।
সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাগুলোর অনেকেরই বাবা মা মনে করেছেন তাদের হাতে হয়তো একটা টিশার্ট জাতীয় কিছু ধরিয়ে দেয়া হবে।
কিন্তু এসে দেখে, তার বাচ্চাকে সোজা শপিংমলে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দেয়া হলো একগাদা নতুন জামার দোকানে, নিজের ইচ্ছামতো জামা পছন্দ করার জন্য ❗
আমরা চাইলেই গার্মেন্টস থেকে লটে কাপড় এনে একটা করে গেঞ্জি দিয়ে দায় সারতে পারতাম। এতে হয়তো অল্প বাজেটে কয়েক হাজার বাচ্চাকে তথাকথিত ঈদের কাপড় দেয়া যেত। কিন্তু শপিং এর আনন্দ কি দেয়া যেত ⁉️
এক্ষেত্রে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা বড্ড একগুঁয়ে। তারা বলে, হাজার জনকে নয় দরকার হলে সংখ্যাটা শয়ে থাকুক। তারপরও এই সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চারা ঈদ শপিং এর অভিজ্ঞতাটা নিক। 😇

স্বপ্নের মতো কাটানো এই ৭ দিন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে ঈদের আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না 😍
ইভেন্ট লিংকঃ https://fb.me/e/33Z4MBAqj

✒️ উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল, পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৩৯২ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন জামা উপহার দিয়েছে এক টাকায় শিক্ষা।
🛍️ এর পরের দুটি বছর করোনার থাবায় ঈদ ইভেন্ট করার পরিবর্তে ফুড ব্যাগ ইভেন্টের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ৫৮ টি পরিবারে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০৫ টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি আমরা।