"এক টাকায় শিক্ষা"-র হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন





মহাবিশ্বের গতিময়তাকে অসার করে দিতে অকস্মাৎ নেমে এলো 'করোনা' নামের অতিক্ষুদ্র সত্ত্বা। করোনার প্রাণনাশের ধারাবাহিক প্রতিযোগিতার ভয়ে স্থবির হয়ে এলো জনজীবন। সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত বন্ধ ঘোষিত হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও।

কিন্তু এই উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র মানুষগুলোর প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু করার তাগিদ অনুভব করে 'এক টাকায় শিক্ষা'। এরই ধারাবাহিকতায় 'এক টাকায় শিক্ষা' এগিয়ে আসে করোনা মহামারী প্রতিরোধের সুপরিচিত হাতিয়ার 'হ্যান্ড স্যানিটাইজার' এর যোগান দিতে।

প্রথম দফায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে সংগঠনের কর্মী ও উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীদের কর্মযজ্ঞে উৎপন্ন হয় ৬০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এই কার্যক্রমের সক্রিয় পরামর্শক ও মান নিয়ন্ত্রক হিসেবে ছিলেন চবির 'প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান' বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক জনাব ড.আতিয়ার রহমান। সেখানে তৈরিকৃত ৬০০ পিস হান্ড সানিটাইজার পর্যায়ক্রমে চবি মেডিকেল সেন্টার, হাটহাজারী উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদ এবং আলিফ হাসপাতালে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।

বিতরণের কাজে একদিকে যখন কর্মীরা ব্যস্ত অন্য দিকে 'জিন প্রকৌশল' বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সদস্যদের উদ্যোগে শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় দফায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের কাজ। এই বারে সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের দরুন প্রায় ২৫০০ বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করার মাইলফলক স্পর্শ করে সংগঠন।

পরবর্তীতে যার মধ্যে প্রায় ১০০০ এর অধিক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং সরকারি ক্লিনিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৩০০ বোতল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি এবং ২০০ পিস রাউজান উপজেলার বিভিন্ন সমাজকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়। এছাড়াও হাটহাজারি উপজেলার 'শায়েস্তা খাঁ' পাড়ায় ত্রাণ বিতরণের সময় ১২০টি হান্ড সানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।

দেশ এখনও করোনা মহামারী কাটিয়ে উঠতে পারে নি। 'এক টাকায় শিক্ষা'ও তাই থামিয়ে দেয় নি তাদের সমাজসেবা। 'দেশ সুস্থ হয়ে উঠুক, সুস্থ হয়ে উঠুক বিশ্ব' এই প্রার্থনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে '১ টাকায় শিক্ষা'র সকল সদস্য।